সংগ্রহীত ভুতের গল্প

তখন ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারে পড়িসেদিন ছিল অমাবশ্যার রাত চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকারএকহাত সামনের জিনিসও দেখা যায়নাতখন প্রায় রাত ১১টাআমার দেশের বাড়িতে কিন্তু রাত ১১টা অনেক রাতসবাই লাইট নিভিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেআমি রাস্তা দিয়ে হাটছিহাটছি মানে বাসায় ফিরছি এক বন্ধুর বার্থডে ছিলোসেই বন্ধুর বাড়িতে আড্ডা মেরে, খাওয়া-দাওয়া সেরে বাসায় ফিরছিসব দোকান পাট বন্ধ হয়ে গেছেরাস্তায় শুধু বিক্ষিপ্ত ভাবে ২/১টা কুকুর ঘোরাফেরা করছেআমি মেইন রোড পার হয়ে গলিতে ঢুকলাম
আমার বাসায় যাইতে হলে এখন এই গলিটা পার হয়ে যাইতে হবেঝিঁ ঝিঁ পোকা ডাকার আওয়াজ আসতেছেকেমন একটা গা ছমছমানি ভাবআমার অবশ্য কখনোই ভুত প্রেতের ভয় ছিলনাঅনেক সময় রাত ২/৩টার দিকেও এই গলি দিয়ে এসে রাস্তার মোড়ের টং দোকান থেকে সিগারেট কিনে নিয়ে গেছিসেদিনও এমন কোন ভয় আসেনি আমার মনের মধ্যে গলি দিয়ে হাটছিহাতে জ্বলন্ত একটা সিগারেটমোবাইলের আলোতে মাঝে মাঝে রাস্তা দেখে নিচ্ছি আর গুনগুন করে গান গাইছি দেখা তো তুঝে ইয়ার, দিল মে বাজে গীটারঠিক তখন গলির মাঝামাঝি হঠাত্‍ শুনতে পারলাম কে যেন বললো এঁক্সকিউজ মিঁ ভাঁইয়াআমি মোবাইলের আলো আশেপাশে ঘুরাইলামতাকালাম আশে পাশে কিন্তু কোথাও কেউ নেইমনে করলাম গলির দুই পাশের কোন বাসায় হয়তো কেউ বলেছেআবার হাটা শুরু করলামদুই ধাপ ফেলতেই আবার সেই ডাক এঁক্সকিউজ মিঁ ভাঁইয়া, আঁপনার সাঁথে এঁকটু কঁথা ছিঁলোএইবার দাড়িয়ে পড়লামহালকা পাতলা ভয় পেলাম তবে সেটা ভুতের না ছিনতাইকারীরআবার চিন্তা করলাম আমি যদি এখন এইখান থেকে দৌড় দেই আর এটা যদি আমার পরিচিত কেউ হয় তাইলে তো দৌড়ের কথা সবাইকে বলে দিয়ে আমার প্রেস্টিজ পাংচার করে দিবে
গলা দিয়ে কথা আসছিলো নাতবুও কৃত্রিম সাহস এনে গম্ভির কন্ঠে বললাম কে?”উত্তর আসলো ভাঁইয়া আঁমি আঁপনার এঁকজন ছোঁট ভাঁইয়ের মঁতআঁমি খুঁব বিঁপদে পঁড়েছি আঁপনার হেঁল্প দঁরকারআমি এইবার কন্ঠে কিছুটা বিরক্তি নিয়ে জিগ্যেস করলাম তো এমন নাকি সুরে ভুতের মত কথা বলছো ক্যান? উত্তর দিল ভাঁইয়া আঁমি তো ভুঁত ভুঁত হঁয়ে কিঁ আঁমি ছাঁগলের মঁত কঁথা বঁলবো? আমি কি বলবো বুঝলাম নাওরে কে কোথায় আছিস আমারে বাঁচা বলে একটা চিত্‍কার দেওয়ার চিন্তা কেবল করতাছি এমন সময় সে আবার বললো ভাঁইয়া আঁপনার হাঁতের সিঁগারেট টা নিঁভিয়ে ফেঁলে দিঁন তাঁহলে আঁমি আঁপনার সাঁমনে আঁসতে পাঁরবোআঁপনি তোঁ জাঁনেনই ভুঁতরা আঁগুন দেঁখলে ভঁয় পাঁয়আঁপনি তোঁ আঁমাকে দেঁখতে পাঁরছেন নাঁদেঁখতে পাঁইলে দেঁখতেন ভঁয়ে আঁমার শঁরীরের সঁব লোঁম নেঁতিয়ে গেঁছেভয়ে লোম নেতিয়ে যায় নাকি? এতদিন তো শুনেছি ভয়ে লোম খাড়া হয়ে যায়সে বললো আঁপনাদের মাঁনুষদের ভঁয়ে লোঁম খাঁড়া হঁয়ে যাঁয়আঁমাদের ভুঁতদের লোঁম তোঁ সঁব সঁময় খাঁড়ায় থাঁকে তাঁই ভঁয় পেঁলে নেঁতিয়ে যাঁয়আমি সিগারেট ফেলে না দিয়ে জোরসে একটা টান দিলামভুতটা কিছুটা আকুতির মত করে বললো ভাঁইয়া প্লিঁজ আঁপনার পাঁয়ে ধঁরি এঁইভাবে ভঁয় দেঁখাবেন নাঁআঁমার হাঁর্টের প্রঁবলেম আঁছে
আমি বললাম তুমি কে সত্যি করে বলোআমি জানি তুমি আমার পরিচিত কেউআমার সাথে ফাইজলামি করতাছোআমি ভুত বিশ্বাস করিনাসে বললো এঁইভাবে বঁলবেন নাঁ ভাঁইয়াআঁমরা ভুঁত বঁলে কিঁ আঁমাদের কোঁন মাঁন সঁম্মান নাঁই? আঁপনি এঁই ভাঁবে আঁমাদের অঁস্তিত্ব কেঁ অঁস্বীকার কঁরতে পাঁরেন নাঁআঁমি কিঁ কঁখনো বঁলেছি যেঁ মাঁনুষ বঁলতে কিঁছু নাঁই, মাঁনুষ বিঁশ্বাস কঁরিনা? বুঝলাম বেশ আত্নমর্যাদা সম্পন্ন ভুতজিগ্যেস করলাম আমার কাছে তোমার কি দরকার? আমি তোমাকে কিভাবে হেল্প করতে পারি? সে উত্তর দিলো ভাঁইয়া সঁব বঁলবো তাঁর আঁগে আঁপনি দঁয়া কঁরে আঁপনার হাঁতের সিঁগারেট টাঁ ফেঁলে দিঁয়ে নিঁভিয়ে ফেঁলুন ওঁটাতো এঁমনিতেই শেঁষ হঁয়ে গেঁছেএঁইভাবে ধঁরে রাঁখলে তোঁ এঁকটু পঁর আঁপনার আঁঙ্গুলে ছেঁকা লাঁগবেআমি সিগারেটের দিকে তাকালামআসলেই এটা শেষ একটু পর সত্যি ছেকা খাইতামফেলে দিয়ে পা দিয়ে নিভিয়ে ফেললামতারপর বললাম এখন বলো কি সমস্যা তোমার? ভুত তার কাহিনী বলা শুরু করলো
ভাঁইয়া আঁমার নাঁম উঁত্‍ঘটবেঁচে থাঁকতে আঁমার নাঁম ছিঁলো উঁত্‍পল, মঁরার পঁর ভুঁত হঁয়ে আঁমার নাঁম হঁয়েছে উঁত্‍ঘটআমি জিগ্যেস করলাম কত দিন আগে তুমি মারা গেছো? উত্তর দিলো তাঁ তোঁ ভাঁইয়া কঁয়েক লাঁখ বঁছর হঁবেতারপর সে বললো ভাঁইয়া চঁলেন চাঁ খাঁইতে খাঁইতে গঁল্প কঁরিআমি অবাক হয়ে জিগ্যেস করলাম ভুতরা আবার চাও খায় নাকি? উত্‍ঘট বললো কেঁনো খাঁবেনা? ভুঁতরা মাঁনুষদের চেঁয়ে বেঁশি চাঁ খাঁয় কাঁরন ভুঁতদের সাঁরারাত জেঁগে থেঁকে মাঁনুষ দেঁর ভঁয় দেঁখাতে হঁয়চাঁ নাঁ খেঁলে কিঁ এঁত জেঁগে থাঁকা যাঁয়আমি শুধু একটু ঢোক গিললাম
কি বলবো কিছুই বুঝলামনাএই রাতের বেলা কোন ভুতের সাথে চা খাওয়ার ইচ্ছা আমার নাইআমি বললাম দেখো উত্‍ঘট, তোমাদের তো সারারাত জেগে মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য চা খেতে হয় কিন্তু আমার তো আর রাত জেগে কোন ভুত কে ভয় দেখানোর মত কোন ডিউটি নাইআমি বাসায় যেয়ে ঘুমাবো তাই আমি এখন চা খাবোনাতুমি তাড়াতাড়ি তোমার প্রবলেমের কথা বলো
সে আবার বলা শুরু করলো ভাঁইয়া আঁমি অঁনেক শিঁক্ষিত এঁকজন ভুঁতআঁমি ক্লাস টু পর্যন্ত পঁড়েছিক্লাঁস ফাঁইভে এঁবং এঁইটে ট্যাঁলেন্টপুলে বৃঁত্তি পেঁয়েছিআমি ওকে থামিয়ে দিয়ে জিগ্যেস করলাম ক্লাস টু পর্যন্ত পড়লে ক্লাস ফাইভ এবং এইটে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাইলা কেমনে? সে উত্তর দিলো ভাঁইয়া আঁপনাদের যেঁমন ক্লাঁস ওঁয়ানে ভঁর্তি হঁয়ে মাঁস্টার্স পঁযন্ত পঁড়ে আঁমাদের ভুঁত সঁমাজে ঠিঁক তাঁর উঁল্টোমাঁস্টার্সে ভঁর্তি হঁয়ে উঁল্টো দিঁকে আঁসতে আঁসতে ক্লাঁস ওঁয়ানে এঁসে পঁড়া শেঁষ হঁয়আমি কন্ঠে বিরক্তি এনে বললাম যত্ত সব ফালতু নিয়মউত্‍ঘট বললো নাঁ ভাঁইয়া, এঁটাই ঠিঁক নিঁয়মআঁপনাদেরটাই ফাঁলতু নিঁয়মকাঁরন প্রাঁইমারী, হাঁইস্কুল তোঁ খুঁব সঁহজ পঁড়াকঁঠিন পঁড়া তোঁ অঁনার্স, মাঁস্টার্সেসঁহজ পঁড়া পঁড়ে উঁপরের ক্লাঁসে ওঁঠার চেঁয়ে কঁঠিন পঁড়া পঁড়ে নিঁচের ক্লাঁসে যাঁওয়া অঁনেক যৌঁক্তিকএঁতে ভিঁত্তি মঁজবুত হঁয় আমি আর তার যুক্তির কাছে কিছু বলতে পারলাম নাজিগ্যেস করলাম তাহলে ক্লাস টু পর্যন্ত পড়ে পড়া ছেড়ে দিলে কেনো? ক্লাস ওয়ান টা পাশ করলেই তো তোমার একেবারে কমপ্লিট হয়ে যেতোসে তখন বললো ঐঁ কাঁহিনীই তোঁ এঁখন আঁপনাকে বঁলবো ভাঁইয়া
আঁমি যঁখন ক্লাঁস টুঁ তেঁ ভঁর্তি হঁলাম তঁখন আঁমার ক্লাঁসে ভঁর্তি হঁলো চেঁনেহা নাঁমের এঁক পেঁত্নিবেঁচে থাঁকতে নাঁম ছিঁলো স্নেঁহা পেঁত্নি হঁওয়ার পঁর নাঁম হঁয়েছে চেঁনেহাতাঁরপর ভাঁইয়া আঁমি চেঁনেহার প্রেঁমে পঁড়ে গেঁলামএই পর্যন্ত বলে আবার সে চুপআমি জিগ্যেস করলাম কি হল? তারপর? সে কয়েক সেকেন্ড পর বললো নিঁজের প্রেঁমের কঁথা বঁলতে যেঁয়ে এঁকটু লঁজ্জা পেঁয়ে গেঁছিলাম তোঁ ভাঁইয়া তাঁই এঁকটু চুঁপ কঁরে ছিঁলামআমি মনে মনে বললাম ভুতেরও আবার লজ্জামুখে শুধু বললাম তারপর কি কাহিনী? উত্‍ঘট আবার বলা শুরু করলো চেঁনেহাকে আঁমার ভাঁলোবাসার কঁথা জাঁনালামসেঁ কিঁছুতেই আঁমার প্রঁস্তাবে সাঁড়া দিঁলোনাআঁমার নাঁওয়া খাঁওয়া, পঁড়াশুনা সঁব গোঁল্লায় যেঁতে লাঁগলোএঁকদিন এঁকটা কাঁগজে কঁরে দেঁখা তোঁ তুঁঝে ইঁয়ার দিঁল মেঁ বাঁজে গীঁটারকঁথাটা লিখে চেঁনেহাকে দিঁলাম
চেঁনেহা কঁথাটা খুঁব পঁছন্দ কঁরলোসেঁ আঁমাকে জিঁগ্যেস কঁরলো এঁই কঁথাটা আঁমি কোঁথায় পেঁয়েছি? আঁমি তোঁ ভাঁইয়া শিঁক্ষিত ভুঁতমিঁথ্যা কঁথা এঁকদমই বঁলিনাআঁমি তাঁকে বঁললাম যেঁ এঁটা মাঁনব সঁমাজের এঁকটি হিঁন্দী গাঁনএঁটা বঁলাটাই আঁমার জঁন্য কাঁল হঁয়ে দাঁড়ালোচেঁনেহা তঁখন বঁললো যেঁ আঁমি যঁদি মাঁনব সঁমাজ থেঁকে এঁই গাঁনটা তাঁকে সংগ্রঁহ কঁরে দিঁতে পাঁরি তাঁহলে সেঁ আঁমাকে ভাঁলবাসবেতাঁরপর থেঁকে পঁড়াশুনা বাঁদ দিঁয়ে আঁমি এঁই গাঁন যোঁগাড় কঁরতে নেঁমে গেঁলামকিঁন্তু কোঁন মাঁনুষ আঁমাকে হেঁল্প কঁরেনি ভাঁইয়া আঁমার ভুঁত পঁরিচয শুঁনেই সঁবাই উঁল্টো দিকে দৌঁড় দেঁয় অঁথবা ঐঁখানেই হাঁর্ট এঁট্যাক কঁরে পঁড়ে যাঁয়আমি বললাম তুমি সবাইকে তোমার ভুত পরিচয় দাও কেনো? তোমরা তো ইচ্ছে করলেই মানুষের রুপ ধরে মানুষ পরিচয় দিয়ে কারও কাছ থেকে গানটা নিতে পারতেউত্‍ঘট উত্তর দিল তাঁ পাঁরতাম ভাঁইয়াআঁরও অঁনেক কিঁছু পাঁরতাম যেঁমন এঁই গাঁনটা যাঁদের মোঁবাইলে আঁছে তাঁদের মোঁবাইলটা চুঁরি কঁরে গাঁনটা নিঁয়ে নিঁতে পাঁরতামকিঁন্তু ভাঁইয়া আঁমি শিঁক্ষিত ভুঁতআঁমি কাঁউকে মিঁথ্যা কঁথা বঁলিনা অঁথবা চুঁরি, প্রঁতারনা কঁরিনাআঁজ যঁখন মঁনের দুঃখেঁ আঁপনাদের এঁই গঁলিতে বঁসে ছিঁলাম তঁখন শুঁনতে পাঁরলাম আঁপনি এঁই গাঁনটা গাঁইতে গাঁইতে যাঁইতেছেনএঁখন ভাঁইয়া আঁপনি আঁমার শেঁষ ভঁরসাএই বলেই উত্‍ঘট হাসতে লাগলো
আমি জিগ্যেস করলাম হাসো কেনো? সে বললো মঁনের দুঃখে হাঁসি ভাঁইয়াআঁপনারা মঁনের দুঃখে কাঁদেন আঁর আঁমরা হাঁসিআমি ওকে বললাম হাসি থামাওসে হাসি থামালোজিগ্যেস করলাম গান কেমনে দিবো তোমারে? সে বললো ভাঁইয়া আঁমি আঁমার মোঁবাইলের ব্লুঁ টুঁথ চাঁলু কঁরতাছিআঁপনি সেঁন্ড কঁরুনআমি ব্লু টুথের নিউ ডিভাইস সার্চ দিলামএকটু পর দেখি কিছু হিজিবিজি চিহ্ন আসলোউত্‍ঘট জানালো ওটাই নাকি ওর ডিভাইসের নামভুতের ভাষায় লেখাআমি সেই ডিভাইসে গানটা সেন্ড করতে করতে বললাম তুমি তো গানটার সিডিও কিনে নিয়ে যেতে পারতেউত্‍ঘট বললো সিঁডি কিঁনতে গেঁলেই তোঁ আঁমাকে মাঁনুষের পঁরিচয় দিঁয়ে কিঁনতে হঁতভুঁতের কাঁছে তোঁ কেঁউ সিঁডি বিঁক্রি কঁরতোনাআঁমি ভাঁইয়া শিঁক্ষিত ভুঁতআঁমি তোঁ কাঁউকে মিঁথ্যা মাঁনুষের পঁরিচয় দিঁয়ে সিঁডি কিঁনতে পাঁরিনাআঁর সিঁডি কিঁনতে গেঁলে তোঁ আঁমার টাঁকার দঁরকার পঁড়তোআঁমি টাঁকা কোঁথায় পাঁবো ভাঁইয়াআঁমাদের ভুঁত সঁমাজে তোঁ টাঁকা বঁলতে কিঁছু নাঁইআঁমাদের মূঁদ্রার নাঁম কাঁটাঐঁটা দিঁয়ে তোঁ আঁর মাঁনব সঁমাজে আঁমি সিঁডি কিঁনতে পাঁরতামনাআঁর আঁমি শিঁক্ষিত ভুঁতমাঁনুষের টাঁকাও আঁমি চুঁরি কঁরতে পাঁরতামনা
আমি শিক্ষিত ভুতের ন্যয় পরায়নতা দেখে মুগ্ধ হলামএকটু পর গান সেন্ড হল পুরোপুরিউত্‍ঘট আবার হাসতে লাগলোআমি জিগ্যেস করলাম গান তো পাইছোআবার হাসো কেনো? উত্‍ঘট বললো ভাঁইয়া এঁটা কঁষ্টের হাঁসি নাঁ ভাঁইয়া এঁটা আঁনন্দের হাঁসিআঁপনাকে যেঁ কিঁ বঁলে ধঁন্যবাদ দেঁব বুঁঝতে পাঁরছিনা ভাঁইয়াআঁপনি অঁনেক মঁহান ভাঁইয়া বলতে বলতে সে আবার হাসতে লাগলোআমি বুঝতে পারলাম সে খুব আবেগপ্রবন হয়ে গেছেআমি উত্‍ঘট কে বললাম যে এর পর যদি আবার কখনো কোন গানের দরকার পরে তাইলে আমার কাছে এসোসে বললো মাঁথা খাঁরাপ ভাঁইয়া? জীঁবনে আঁর কোঁনদিন চেঁনেহার সাঁমনে মাঁনব সঁমাজের কোঁন গাঁন নিঁয়ে যাঁবোনাআমি বললাম তাইলে তো এখন আর চিন্তা নাইচেনেহার সাথে প্রেম তো হয়ে গেলোএখন যেয়ে পড়াশুনাটা কমপ্লিট করে বিয়ে করে ফেলো
উত্‍ঘট জানালো জ্বিঁ ভাঁইয়া অঁবশ্যইআঁর আঁমাদের বিঁয়েতে আঁপনাকে অঁবশ্যই কাঁর্ড দিঁয়ে দাঁওয়াত দেঁব ভাঁইয়াআঁমি ভাঁইয়া শিঁক্ষিত ভুঁতআঁমি কঁখনো কঁথার বঁরখেলাপ কঁরিনা, অঁবশ্যই আঁপনাকে দাঁওয়াত দেঁবোএঁখন তাঁহলে আঁসি ভাঁইয়া ভাঁলো থাঁকবেনএঁই বঁলে উত্‍ঘট হাসতে হাসতে (মানে কাঁদতে কাঁদতে) চলে গেলোআমি সেখানে আরও কিছুক্ষন দাঁড়ায়ে থাকলামতারপর বাড়ির পথে পা বাড়ালাম
পরিশিষ্ট: আজও আমি অপেক্ষা করি উত্‍ঘট আর চেনেহার বিয়ের কার্ডের জন্যকিন্তু কোন কার্ড পাইনাউত্‍ঘট কি আমাকে ভুলে গেলো? না এ হতে পারেনাউত্‍ঘট একজন শিক্ষিত ভুতসে তার দেওয়া কথা অবশ্যই রাখবে